জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর দেড় দশকের জুলুমের অভিযোগ
- By Jamini Roy --
- 31 January, 2025
বাংলাদেশে বিগত দেড় দশকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, "ফ্যাসিবাদ ও দমননীতি কারও জন্য কল্যাণকর নয়, এবং এটি আর কখনো বাংলাদেশে ফিরে আসতে দেওয়া যাবে না।"
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজারে এক স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জামায়াত আমির এই মন্তব্য করেন। সভাটি জামায়াতের মহিলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজা আসমা খাতুনের স্মরণে আয়োজিত হয়েছিল।
ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে জামায়াতের কর্মীদের এমনভাবে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে যে তারা বাবা-মায়ের জানাজায় পর্যন্ত অংশ নিতে পারেননি।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশের মানুষের জন্য ফ্যাসিবাদী শাসন এক দুঃস্বপ্ন ছিল। আমরা এমন শাসন আর কখনো প্রত্যক্ষ করতে চাই না।"
জামায়াতের আমির আরও বলেন, "হাফেজা আসমা খাতুন ছিলেন আমাদের দলের জন্য এক আদর্শ। তিনি ছিলেন জামায়াতের ৪৩ হাজার নারী রুকনের অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশের নারী রাজনীতিতে তিনি এক পথিকৃৎ ছিলেন, যিনি নারী জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।"
স্মরণসভায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বলেন, "বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে হাফেজা আসমা খাতুন এক উজ্জ্বল নাম। তিনি দেশের নারী সমাজে জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।"
জামায়াতের নেতারা বলেন, তাদের দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক হামলা চালানো হয়েছে এবং জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। তবে তারা আরও জানান, এই চরম দমননীতির পরও জামায়াত তার আদর্শিক অবস্থান ধরে রেখেছে এবং আগামীতেও তা বজায় রাখবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "বাংলাদেশে আমরা আর কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন দেখতে চাই না। আমরা ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিতে একটি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র দেখতে চাই।"
তিনি আরও বলেন, "দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ ও রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাব।"
জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, তারা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরতে চান। এ জন্য তারা জনগণের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন।
জামায়াত নেতারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে ফ্যাসিবাদী নীতি থেকে সরে আসতে হবে।